স্ট্রোকে হাত ও পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার

স্ট্রোকে ডান হাত ও পা- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৩ জানুয়ারি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হয়ে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সানাউল্লাহ মিয়া বর্তমানে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন।

সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ‘স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় স্যারের ডান হাত ও পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া কথা বলতেও তার কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করেন তিনি। ৩৩ বছর ধরে আইন পেশায় যুক্ত আছেন সানাউল্লাহ মিয়া।

কারাগারে ‘বিলাসবহুল’ জীবনযাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনেকে মাসের পর মাস কারা হাসপাতালে ‘বিলাসবহুল’ জীবনযাপন করে আসছে। অবিলম্বে তাদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে কারা তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেওয়ার পরই ১২ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বাকিদেরও রাতের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আজ (বুধবার) আবারও কারা হাসপাতালে অভিযান চালাবে দুদক। গতকাল মঙ্গলবার চালানো অভিযানে ভয়ানক এ অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) বলেন, কারাগারের এ দুর্নীতির ঘটনা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দুদক অনুসন্ধান শুরু করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে

দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, গণমাধ্যম ও সংস্থার হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে। দুদকের মেডিকেল অফিসার অনুপ কুমার বিশ্বাস, সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ সংস্থার পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘অভিযানের সময় আমরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে হাসপাতালটি পরিদর্শন করি। আমরা প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সরেজমিনে আমরা দেখেছি, ১৭০ শয্যার ওই হাসপাতালে দুই-তৃতীয়াংশ সিটই সুস্থ কয়েদিদের দখলে।

তারা শুধু ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের নাম করে মাসের পর মাস হাসপাতালের সিট দখল করে রাখে। হাসপাতালের সিটে আয়েশি ভঙ্গিতে সুস্থ কয়েদি ও হাজতিদের অনেককেই বসে থাকতে দেখা যায়। পরিদর্শনকালে কিছু কক্ষে টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ওভেন ইত্যাদিও ব্যবহার করতে দেখেছি।’